Friday, March 29, 2024
Homeআলিপুরদুয়ারআলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে লগ্নভ্রষ্টা মেয়ের সম্মান রক্ষা করল সিভিক ভলেন্টিয়ার্স

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে লগ্নভ্রষ্টা মেয়ের সম্মান রক্ষা করল সিভিক ভলেন্টিয়ার্স

মিল্টন সরকার,আলিপুরদুয়ারঃ আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে লগ্নভ্রষ্টা মেয়ের সম্মান রক্ষা করল সিভিক ভলেন্টিয়ার্স লগ্নভ্রষ্টা মেয়ে কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার্স। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুধু জেলা নয় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স কে অনেক বাহবা দিয়েছেন প্রত্যেকেই। সিভিক ভলেন্টিয়ার্স এর নাম ধীরেশ দাস।

আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুপ্রিয়া দাস, তার বাবা রাজু দাস পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জানা গেছে মাসখানেক আগেই আলিপুরদুয়ার কোর্টে কর্মরত সরকারি হোম গার্ড মিন্টু বর্মন এর সঙ্গে তার পরিবার ঘটকের মারফত বিয়ে ঠিক করে। বিয়ের শর্ত মত মিন্টুকে এক লাখ নবনই হাজার টাকা নগদ সাথে সোনার চেন, হাতে আংটি একটি মোটর সাইকেল দেয় কন্যা পক্ষ।

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে লগ্নভ্রষ্টা মেয়ের সম্মান রক্ষা করল সিভিক ভলেন্টিয়ার্স

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে লগ্নভ্রষ্টা মেয়ের সম্মান রক্ষা করল সিভিক ভলেন্টিয়ার্স

অনান্য খবর- ‘জীব সেবাই শিব সেবা’ শিশুদের দুধ,বিস্কুট, হরলিক্স দিল ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন দিনহাটা শাখা

ভ্যাকসিন নিলেই আপনি বাহুবলী হয়ে যাবেন,বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

৮ মার্চ সোমবার বিকেলে কুমারগ্রামের সুপ্রিয়ার বাড়িতে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সানাই ব্যান্ড পার্টি এবং বিয়ের শুভ সেই মুহূর্তে হঠাৎ ছন্দ পতন ঘটে জানা যায়। বিয়ের পাত্র তার ভালোবাসার প্রেমিকা কে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই খবর আসতেই সবকিছু দিশেহারা হয়ে যায়। পরিবারের লোক গতিবিধি বুঝতে না পেরে নিরুপায় হয়ে কুমারগ্রাম থানায় ফোন করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকার। এরপর লগ্ন ভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য সেই থানার অন্তর্গত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার্স সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। সুপ্রিয়ার পরিবার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। অবশেষে সিভিক ভলেন্টিয়ার ধীরেশ দাস এর সঙ্গে এবং সুপ্রিয়ার চার হাত এক হয়। ৮ ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে লগ্নভ্রষ্টা হাত থেকে রক্ষা পায় সুপ্রিয়া।

অনান্য খবর- দিনহাটার সৃষ্টি বর্মনের মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নাম্বার ৬৯৭, ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় সে

সুপ্রিয়ার বাবা বলেন, অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আইসি বাসুদেব সরকার কে। মেয়ের বিয়েতে এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমি বাকরুদ্ধ। কিন্তু শেষমেশ মেয়েকে লগ্ন ভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছি। মেয়ের আগামী জীবনের মঙ্গল কামনা করি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments