Saturday, April 20, 2024
Homeশিরোনামআনিসকে খুন করেছে মমতার পুলিশ", ছাত্রনেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সরব শুভেন্দু অধিকারী।

আনিসকে খুন করেছে মমতার পুলিশ”, ছাত্রনেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সরব শুভেন্দু অধিকারী।

আনিসকে খুন করেছে মমতার পুলিশ”, ছাত্রনেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ‘রহস্যমৃত্যু’র জন্য পুলিশকে সরাসরি দায়ী করে শুভেন্দু এদিন বলেন, “তৃণমূল বিধায়কের স্বামী তথা গ্রামীণ পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই খুন হয়েছে।” মঙ্গলবার আনিসকাণ্ডে তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “নীচুতলার কর্মীদের সাসপেন্ড করে কী হবে? তারা বাধ্য হয়েই শুধু নির্দেশ পালন করেছে মাত্র।” শুভেন্দুর দাবি, ওই কেসে SIT নয়, CBI-ই একমাত্র সমাধান। এমনকী আনিস খানের বাবার আইনি লড়াইয়ে তিনি সামিল হবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিনই তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুণালকে ‘নর্দমার কীট’ বলে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। এদিন সকালে কাঁথি আদালতে মামলার হাজিরা দিতে আসেন তৃণমূল দলনেতা কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই কুণালকে এই ভাষাতে কটাক্ষ করলেন BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কাঁথি পুরসভায় নির্বাচনী প্রচার করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পুরপ্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাপে তাড়ানো ছেলের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না।”


একদা সতীর্থ কুণাল ঘোষের সম্পর্কে তাঁর কটাক্ষ, “যে ছেলেকে বাবা ত্যাজ্য করে দিয়েছে সেই নর্দমার কীটদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে আমি রাজি নই।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কাঁথি আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় বিচারকের কাছে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কাঁথি আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

এদিন আদালতের বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পালটা জবাবে কুণাল বলেন, “এগুলো মানসিক অবসাদের বহিঃপ্রকাশ।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার সম্পর্কে শুভেন্দুর যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে নালিশ করতে পারেন উনি।”

শুভেন্দু-কুণালের মধ্যে এই তরজা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার একে অপরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা। সৌমেন্দুর করা মামলা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আদালত যদি তাঁর ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’, ‘রাজনৈতিক বেজন্মা’ ইত্যাদি ভাষা প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তবে তিনি সেগুলো আর প্রয়োগ করবেন না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments