শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগে জানিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন পেলে, সরকার আলোচনার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে চাকরি প্রার্থীরা বৈঠকের জন্য আবেদন করে। এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকাশ ভবন থেকে ফোন করে সোমবারের বৈঠকের ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকাভুক্ত অন্যতম আন্দোলনকারী শহিদুল্লা জানিয়েছেন, তাঁরা আটজন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে যাবেন। শিক্ষামন্ত্রী কাছে নবম থেকে দ্বাদশ মেধাতালিকাভুক্ত
সব চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ যাতে সম্পন্ন হয়, তার দাবি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শহিদুল্লা জানিয়েছেন, সরকার দ্রুত মেধাতালিকা ভুক্ত সবাইকে নিয়োগ করবে বলে আশাবাদী তারা।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট কাটানোর শুরুটা হয়েছিল ২৯ জুলাই। সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়েছিলেন শহিদুল্লা। সেই একদফা বৈঠক হয়েছিল সেদিন। উপস্থিত
ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষ। সেই সময় পরবর্তী বৈঠক শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে হবে বলে কথা হয়েছিল।
২৯ জুলাইয়ের বৈঠকের পরে শহিদুল্লা জানিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত মানবিক। সেদিনের বৈঠক ইতিবাতক বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। শহিদুল্লা আরও জানিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,
২০১৬-র মেধাতালিকা ভুক্ত সবার যাতে চাকরি হয়, তার জন্য চেষ্টা করবেন।
এব্যাপারে উল্লেখ করা যেতে পারে ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন ২০১৬-র মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। এই মুহুর্তে তাঁরা রয়েছেন ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।
এসএসএসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে এসএসির আন্দোলনকারীদের প্রতি কিছুটা হলেও নরম মনোভাব নিয়েছে সরকার। ২৯ জুলাই ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে
বৈঠক ছিল প্রথম পদক্ষেপ। তখনই বলা হয়েছিল এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা আলোচনার জন্য আবেদন করলে সরকার সেই মতো এগোবে। তারপরেই আবেদন করেন এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা। এরপর সোমবারের বৈঠক। এই বৈঠক
নিয়ে আশায় সব পক্ষই।