Friday, April 19, 2024
Homeপশ্চিম মেদিনীপুরঅখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের দাবি মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবনির্মিত কর্নগড় গড়ে সম্মানিত...

অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের দাবি মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবনির্মিত কর্নগড় গড়ে সম্মানিত রাজপুরুষেরা

অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের দাবি মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবনির্মিত কর্নগড় গড়ে সম্মানিত রাজপুরুষেরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল শালবনীর কর্নগড় গ্রামের প্রসিদ্ধি ছিলো মা মহামায়ার মন্দির ও রানী শিরোমনির স্মৃতিবিজড়িত ধ্বংস্বপ্রাপ্ত গড় কে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রানীর নামে ট্রেন চালু করে অমর করেন রানীর মিথকে। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সহায়তা করেন কর্নগড় মন্দিরকে ঘিরে ইকো টুরিজম এর। এছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন কুনাল ঘোষ সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে মন্দিরের উন্নতিকল্পের চেষ্টা করেন। শালবনীর সেই সময়কার বিডিও সঞ্জয় মালাকারের নজরে আসে রানী শিরোমনির স্মৃতি বিজড়িত দাঁড়িয়ে আছে ধ্বংসের মুখে। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় ও সভাপতি মিনু কোয়াড়ী, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ এবং জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ এর পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকাটির আশেপাশের পরিকাঠামো উন্নয়ন, নদীতে ব্রীজ তৈরীর কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই শালবনীর সেই সময়কার বিডিও সঞ্জয় মালাকারের মাধ্যমে বিষয়টিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল। কর্নগড় গড়ে ইকো-ট্যুরিজম প্রসারের উদ্দেশ্যে নতুন কটেজ নির্মাণ, ক্যাফেটেরিয়া নির্মানের কাজ এলাকায় পরিবেশবান্ধব পার্ক তৈরী করে পর্যটন শিল্পের প্রসারের কাজ শুরু করেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল। ২০২১ এর নির্বাচনে জুন মালিয়া এলাকার বিধায়িকা নির্বাচিত হওয়ায় গতি বাড়ে কাজে। গত ১০ ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এই গড়টির।

করোনা মহামারীর প্রথম পর্যায়ে কাজ চলাকালীন কর্নগড় গড়ের রাজাদের নাম স্মরণ রাখার জন্য ও এখানাকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের দাবিতে অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে তন্ময় সিংহ, শুভাশিস সিংহ প্রমুখেরা স্মারকলিপি দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক রশ্মি কোমল কে শালবনীর বিডিও সঞ্জয় মালাকারের মাধ্যমে। সঞ্জয় মালাকার প্রতিশ্রুতি দেন কটেজ গুলোর নাম রাজাদের নাম অনুসারে নামকরণের, নতুন গড়ের উদ্ধোধনের পর প্রশাসন কথা রাখায় খুশি অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজে। তবে সমাজের তরফে জেলাশাসক রশ্মি কোমল এবং প্রাক্তন বিডিও সঞ্জয় মালাকার কে ধন্যবাদ জানান। অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ ও মন্দির কমিটির তরফে গড়ের মধ্যে সুইমিং পুল ও ক্যাফেটেরিয়া গঠনের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষোভ আছে। শুভাশিস সিংহ জানান, তারা চান গড়ের বাইরের খালি জায়গায় ক্যাফেটেরিয়া হোক ও সুইমিং পুল পদ্মপুকুরের পরিবর্তে অন্যত্র হোক। রানী শিরোমনির স্মৃতিবিজড়িত পদ্মপুকুরের ঐতিহ্য রক্ষায় ও গড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের দাবিতে অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments