সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে কাঞ্চনের কটাক্ষ এ; ক্ষমা চাইলেন তার স্ত্রী শ্রীময়ী!
রবিবার ডাক্তারদের করা আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঞ্চন মল্লিক সরকারি বোনাস বেতন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসে। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নিন্দার ঝড় ওঠে।তারকা বিধায়কের এহেন বক্তব্যে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। সুদীপ্তা চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরাও তীব্র সমালোচনা করেন। শেষমেষ তার এইরকম বার্তা দেওয়ার জন্যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে সকলের কাছে ক্ষমা চান।ভিডিও পোস্ট করেন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত’। এছাড়াও স্বামী হয়ে শ্রীময়ীও সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চান।
মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী সকাল থেকে তিনি সাংবাদিকদের প্রচুর ফোন পেয়েছেন প্রতিক্রিয়ার জন্য। জানতে চাওয়া হয়েছে তিনি তিনি কাঞ্চনের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত কিনা। তার জবাব দিয়েই অভিনেত্রীর লেখেন, “কাঞ্চন ডাক্তারদের নিয়ে যে কথাটা বলেছে যে সরকারি বেতন বা বোনাসের কথা উল্লেখ করে সেটাতে আমি একদমই সহমত পোষণ করছি না। এটা বলা হয়তো ওর ভুল হয়েছে, এটা অন্যায় হয়েছে।”
অভিনেত্রীর সংযোজন, “তবে একটা কথা বলে রাখা উচিত প্রত্যেকটা মানুষের প্রত্যেকদিন হয়তো মেজাজ ঠিক থাকে না। কারণ লাস্ট যেদিন IMU এর বনধ্ ছিল সেদিন কাঞ্চনের এক পরিচিত ভাতৃস্থানীয় বলা যেতে পারে তার মায়ের ইন্টারনাল ব্লিডিং শুরু হয়েছিল ব্রেন থেকে এবং তাকে ডক্টরের কাছে অ্যাডমিট করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছে বিভিন্ন হসপিটাল এবং সেখানে তাঁর চিকিৎসা পায়নি। সকাল থেকে ইমারজেন্সি বিভাগ বন্ধ ছিল এবং সেখানেও অবরোধ চলছিল, তো সেই ছেলেটি বারবার কাঞ্চনকে ফোন করছিল যে আমার মাকে বাঁচাও কাঞ্চনদা।”
অভিনেত্রী আরো জানান সকালে এই বিষয়টি কাঞ্চন মল্লিককে জানানো হয়। বিকেলে জানতে পারেন তার পরিচিত সেই ব্যক্তির মা মারা গিয়েছে। তাতে ওই ব্যক্তি কাঞ্চনকে লেখেন, “থ্যাংক ইউ কাঞ্চনদা আর কোনও মেডিক্যাল সহযোগিতার জন্য তোমাকে বারবার বলব না, আর লাগবেও না, আমার মা-ই চলে গেল যার জন্য এত লড়াই ছিল।” হসপিটালে ভর্তি করার জন্য একাধিকবার কাঞ্চন মল্লিকের কাছে ফোন আসে। যার ফলে তার মাথা গরম হয়ে যায়।
অভিনেত্রী লেখেন, “ভুলবশত হিট অফ দ্য মোমেন্ট বলে দিয়েছে, কিন্তু এটা কোন কাউকে ছোট করার জন্য বা কাউকে সাপোর্ট করার জন্য, বা যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদের জন্য তাঁদেরকে ছোট করার জন্য বা তাঁদেরকে ক্রিটিসাইজ করার জন্য বা কোনও অন্যায়কে সাপোর্ট করার জন্য কথাগুলো বলেনি এবং কোন ডাক্তারকে ছোট বা অপমান করার উদ্দেশে কথাগুলো বলা হয়নি, ডাক্তারদের জুনিয়র বা সিনিয়র বৈষম্য করার জন্য এগুলো বলা হয়নি, আমাদের সাথে অনেক ডাক্তারের খুব সুসম্পর্ক তাঁরাও এই ঘটনার জন্য আমাদেরকে ফোন করেছেন, তাঁদেরও খারাপ লেগেছে, আর এটাই স্বাভাবিক। তাঁরা ভালবাসেন বলে হয়তো ফোন করে খবর নিয়েছেন…এটাই বলব কয়েকদিন যাবত যে ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যক্তিগত কাঞ্চনকে, যা মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই হয়তো একটা ভাবনা-চিন্তা থেকে একটা দুঃখ, ক্ষোভ বেরিয়ে গেছে। ওর কথাগুলো ভেবে বলা উচিত ছিল, স্লিপ অফ টাং হয়েছে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী এবং কাঞ্চনের হয়ে আমিও ক্ষমা চাইছি। আবারও বলছি কেউ ভুল বুঝবেন না।”