সোমবারের নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখল ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’দের সংগঠন
কলকাতা ব্যুরো : ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’-দের তরফে আগামী সোমবার নবান্ন অভিযানের যে ডাক দেওয়া হয়েছিল, আপাতত তা স্থগিত রাখা হল। এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’-দের বেশ কয়েকটি সংগঠন আগামী সোমাবার এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। অভিযানের দু’দিন আগেই আপাতত তা স্থাগিত রাখা হল বলে ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’দের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন নবান্ন অভিযান স্থগিতের কথা কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে তারা। সূত্রের খবর, গতকালই অভিযান নিয়ে লালবাজার, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এবং ভবানীভবনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা। সেখানে পুলিশকর্তারা তাঁদেরকে আশ্বাস দেন, সংগঠনের দাবিদাওয়া সরকারকে জানানো হবে। এই মুহূর্তে যেন নবান্ন অভিযান না করা হয়। কথা বলা হবে মুখ্যসচিবের সঙ্গে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এরপরই সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’-দের সংগঠনের এক নেতা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া রাজ্যপালও সেখানে গিয়েছেন। আমাদেরকে এই মুহূর্তে নবান্ন অভিযান না করা জন্য পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয়। তাছাড়া আমাদের দাবি দাওয়াগুলি বিবেচনা করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে। এর জন্য কিছু সময় চেয়েছেন। সমগ্র পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে আমরা আপাতত সোমবারের নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখলাম।
নবান্ন অভিযান সোমবার স্থগিত রাখা হয়েছে, তার মানে এই নয় যে, নবান্ন অভিযান বাতিল করা হল। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে থাকবেন না। ওই দিন, অর্থাৎ ২১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে থাকবেন। যেদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে থাকবেন, তেমন কোনও দিন দেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে আগামীকাল, রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী’-দের সংগঠনগুলি। সেখানেই দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা জানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।
দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছিল। তাঁদের একাংশের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী একটি অংশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, অথচ তাঁদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করছেন না। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক না করলে তাঁরা নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অভিযান আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল তাঁরা।