শ্লীলতাহানির মামলা থেকে রেহাই পেলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। আজ সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালত এই রায় দিয়েছেন। মিথ্যা অভিযোগ হয়েছিল বলে এদিন দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক। ঘটনায় তিনি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও বিধায়কের এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
২০১৮ সালে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের স্টেট ভায়েস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। সেবছর ৯ জুলাই ফালাকাটা সারদা শিশু তীর্থ স্কুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন গণ্ডগোল হয়। দীপক বর্মণের বিরুদ্ধে পরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। শ্লীলতাহানি, অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ, টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সেই বছরই ১৩ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। সেই মামলাই চলছিল আলিপুরদুয়ার আদালতে। ২০২১ সালে বিজেপির টিকিট এ জিতে ফালাকাটার বিধায়ক হন তিনি। তবে সেই মামলাটি চলছিল। এদিন বিধায়ক শশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের রায়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বিধায়ক।
এ বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন,২০১৮ সালের কেস। ৭/৮ বছর হয়ে গেছে এই কেস। সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ ছিল, আদালতের রায়ে আজ মুক্ত হলাম। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল।
এ ব্যাপারে তৃনমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন,তৃনমূল কে কেন জড়ানো হল বুঝলাম না। ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত, দলের কোন নেতৃত্ব অভিযোগ করেছিল? তিনি আরও বলেন,এটা সাধারন মানুষ অভিযোগ করেছিলেন।দলের কোন নেতা অভিযোগ করেন নি।এটা পলিটিক্যাল ব্যাপার নয়।
এদিকে এটি হাস্যস্পদ কেস বলে আখ্যা দেন দীপক বাবুর আইনজীবী ভাস্কর দে।