দিয়েগো মারাদোনা যে দূর থেকে আশীর্বাদ করছেন তাঁকে, সে অনুভূতির কথা আগেই ব্যক্ত করেছিলেন লিও মেসি। ফুটবলের রাজপুত্রের আশীর্বাদেই ৩৬ বছরের খরা কাটাল আর্জেন্টিনা। নীল সাদা রঙে বদলে গেল কাতারের লুসেইল স্টেডিয়াম। আজ মারাদোনা ভিআইপি বক্সে থাকলে না জানি কী করতেন। কিন্তু দূর থেকেও যে তৃপ্তির শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি, তা আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না। পারলেন, মেসি পারলেন। তাঁর দিকে ধেয়ে আসা সমস্ত অভিযোগ, অভিমান, অপমানের আঙুলগুলোকে গুঁড়িয়ে দিতে পারলেন। বুঝিয়ে দিলেন, ক্লাব নয়, দেশের জন্যও মেসি নিবেদিত প্রাণ। আর সেই সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাবতীয় তর্কের সমূলে অবসান ঘটল। রোজারিওর ছেলে আজ যেন বিশ্বজয় করে বৃত্ত সম্পন্ন করলেন। জন্ম দিলেন নতুন যুগের। যে যুগ শুধু তাঁকেই মনে রাখবে। যে যুগ আর্জেন্টিনা বলতে বুঝবে ম্যাজিশিয়ান মেসির কথা। রূপকথার সওদাগররা তো এমনই হয়।
চলতি বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল ফ্রান্স। সেই ফরাসি শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে মেসিদের জন্য বেশ কঠিন হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এমবাপের পা আর দেশঁর মাথাকে ঘোল খাইয়ে কী অনবদ্য ছন্দে গোটা ম্যাচে নিজেদের দাপট দেখিয়ে গেলেন ডি মারিয়ারা। অথচ এই আর্জেন্টিনার শুরুটাই ছিল কাঁটায় মোড়া। সৌদি আরবের কাছে হারের পর এই দলকে ফেভারিটদের তালিকাতেই রাখেনি কেউ। তবে পরের ম্যাচ থেকে একেবারে অন্য রূপে ধরা দেয় লা আলবিসেলেস্তা। আর ফাইনালের প্রথমার্ধে ফ্রান্সের রক্ষণকে রীতিমতো কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেন মেসিরা।