নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে বেলডাঙ্গা দরগা তলায় মহরম উৎসব পালন এর মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। প্রায় আড়াইশো বছর ধরে ওই এলাকায় মহরম মাসের ১০ তারিখ দিনটিকে পালন করা হয়। মহরমেরকে উপলক্ষ করে স্থানীয় বাচ্চা ও দুঃস্থদের মধ্যে খিচুড়ি বিলি করা হয়।
মুর্শিদাবাদ:-মুসলিম সম্প্রদায়ের মহরম একটি পবিত্র উৎসব আর এই মহরম উৎসবকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ তুলে ধরল মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকাবাসী। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার দরগা তলা এলাকায় প্রায় আড়াইশো বছর ধরে হিন্দু ও মুসলমান দুই ধর্মাবলম্বী মানুষদের যৌথ উদ্যোগে মহরম পালন করা হয় ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন রীতিনীতি পাশাপাশি নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয় এই মহরম কমিটির উদ্যোগে হিন্দু-মুসলমান উভয় তাজিয়ার সামনে প্রদীপ,মোমবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে। যখন কার্যত সাম্প্রদায়িক টানাপোড়েন চলছে ঠিক তার মধ্যেই এভাবে একসঙ্গে হিন্দু-মুসলিমের মহরম পালন নতুন করে দিশা দেখাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে।
দুই তালিবানির সঙ্গে সেলফি নদিয়ার শাফিউল্লার, পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
নিউজ ডেস্ক:
তালিবান। শব্দটা শুনলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে সকলের মনে। সন্ত্রাসবাদীদের ভয়াবহ রূপ প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে। আফগানিস্তানের মানুষের পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে গোটা দুনিয়াকে। বাংলারও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন কাবুলে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন সকলে। দুই তালিবানির সঙ্গে সেলফি তুলেছেন নদিয়ার এক ছাত্র!
কিন্তু, কেন আচমকা বাংলার এই ছাত্র জেহাদিদের সঙ্গে সেলফি তুললেন ( Shafiullah Malikzada)? জানা গিয়েছে, ছাত্রের নাম শাফিউল্লা মালিকজাদা। নদিয়ার কল্যাণীর এই বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাফিউল্লা বর্তমানে আফগানিস্তানে সরকারি চাকরি করেন। তাঁর ফেসবুকে দেখা গিয়েছে, সশস্ত্র দুই তালিবানের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন তিনি। হাসিমুখে তালিব যোদ্ধাদের সঙ্গে এই সেলফি ছড়িয়ে পড়তেই শিউরে ওঠেন শাফিউল্লার পরিচিতরা। যদিও এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি এই উত্তরের সংবাদ ২৪×৭। ভাইরাল পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। সকলেরই মনে প্রশ্ন, বাংলার এই যুবক কী ভাবে যুদ্ধবাজদের সঙ্গে সেলফি তুলতে পারেন? এছাড়াও আরেকটি ছবি দেখা গিয়েছে শাফিউল্লার ফেসবুকে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা, আলোচনা চলছে নয়া তালিবান জমানায় আফগানিস্তানের কাপিসা প্রদেশের কৃষি বিভাগের প্রধান হজরত মোলাভির সঙ্গে। শাফিউল্লার পরিচিতরাও উদ্বিগ্ন। যে ছাত্র বাংলা থেকে গাছের চারা নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন, সেই ছাত্র জেহাদিদের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলছেন দেখে সকলেই আতঙ্কগ্রস্ত। তবে কি ঘরের ছেলেও নাম লেখালেন তালিবানিদের দলে?
সূত্রের খবর বিতর্কের মুখে পড়ে কৃষি বিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী জানিয়েছেন, কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তিনি আফগান সরকারের কৃষি মন্ত্রকে কর্মরত। এমনকী সেই বিতর্কিত পোস্ট তুলেও নেন তিনি।