জলপাইগুড়িঃ
শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষতা পুরস্কার প্রাপ্তিতে বিশ্বরেকর্ড করলেন জলপাইগুড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ গুণ। বর্তমানে তাঁর ঝোলায় ৪৯৬ টি একাডেমিক এক্সিলেন্স আওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে ২৮ সাম্মানিক ডক্টরেট পুরস্কার রয়েছে। শিক্ষক সন্দীপ বাবুকে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে হাই রেঞ্জ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ব্রিটিশ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ফিনিক্স বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, হোপ ইন্টার ন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, জিনিয়াস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ফর এভার স্টার ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, গ্রেট ইন্ডিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতো ১১টা সংস্থা তাকে এই স্বীকৃতি গুলো দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি জেলার শিক্ষা মহল। জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ায় থাকেন শিক্ষক সন্দীপ গুন। তাঁর এই সাফল্যে খুশি শহরবাসী। ১৯৯৯ শাল থেকে শিক্ষকতা করছেন সন্দীপ বাবু গত ২২ বছর ধরে তিনি জলপাইগুড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে। পাশাপাশি তিনি ছাত্র তৈরীর কারিগর হিসাবেও পরিচিত। দীর্ঘ লকডাউন, করোনা অতিমারির জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর, হিসেব বলছে প্রায় ২ বছর পর খুলেছে স্কুল। তবে স্কুল খুললেও ছাত্রদের উপস্থিতি দেখে বেশ চিন্তিত তিনি। এখনো স্কুল মুখী নয় বহু ছাত্র। দাবি করছেন তিনি। এবং কিভাবে বিদ্যালয় আবার ভরিয়ে তোলা যায় সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দীপ বাবুর কাছে। তাঁর কথায় বিদ্যালয়ে ছাত্রদের একটা সুচিন্তিত মনোভাব এবং শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পেরেছিলেন যেটা মাঝে একটা দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় দূরত্ব তৈরী করেছে। পুনরায় করোনা বিধি মেনে ছাত্রদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে তাঁর চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না বলেই তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, যতগুলো পুরস্কার পেয়েছেন তারমধ্যে বিভিন্ন সন্মান আজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে। তবে তাঁর মুখে শোনা যায় এই ৪৯৬ টির মধ্যে এই বছরই ২০২১ এ ৪৩৩ টি পুরুষ্কার পেয়েছেন তিনি। ছোট্ট হাসি হেসে বললেন এই প্রাপ্তি ঈশ্বরের দেওয়া। এবং তিনি দাবি করেন তাঁর বিদ্যালয়ের আশিক্ষক কর্মীর অভাব ২০১৫ শাল থেকে তিনি নিজ উদ্যোগে নিজের বেতন থেকে খরচা করে অভাব পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নিস্বার্থ প্রয়াস মন কেড়েছে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও জলপাইগুড়িতে সারা ফেলেছে। তাঁর সাফল্যে খুশি তাঁরা। তবে জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক সন্দীপ গুনের পুরুষ্কার সারা ফেলেছে।