মঙ্গলবার রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বালিগঞ্জ বিধানসভার পাশাপাশি এদিন ভোটগ্রহণ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। আসানসোলে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৫১ শতাংশ বুথে থাকবে ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা। এদিকে বালিগঞ্জে মোতায়েন করা হয়েছে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
ভোটের সকাল থেকেই বুথের ১০০ মিটারের নিয়ম মেনে ঘুরছেন তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েছেন সকাল থেকেই। এদিনও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
ভোট শুরু হতেই বালিগঞ্জের অশোক হল স্কুলের বুথে উত্তেজনা। ১৬৭ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। শুরু হয় বচসা। তিনি অভিযোগ তোলেন, বুথের মধ্যে কলকাতা পুলিসের কর্মীরা বসে রয়েছেন। কেন বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিস থাকবে, তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কেয়া ঘোষ। পুলিস যেন বুথের আশেপাশে না থাকে তা দেখার নির্দেশ দিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে।
বালিগঞ্জ ২০৬ নম্বর বুথে ভিভিপ্যাট ঠিকমতো কাজ করছে না। ভোট শুরু হতেই অভিযোগ সিপিএমের।
বালিগঞ্জে ৩০০-র মধ্যে ২৩টি বুথ স্পর্শকাতর। এখানে মোট ১০ জন প্রার্থী হলেও, সবার নজর মূলত চারজনের ওপরেই। বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী তারকা-নেতা বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির প্রার্থী কেয়া ঘোষ। সিপিএমের হয়ে লড়াইয়ে নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি সায়রা শাহ হালিম। কংগ্রেসের প্রার্থী কামরুজ্জামন চৌধুরী।
আসানসোলে মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, সিপিএমের পার্থ মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডির মধ্যে।