আলিপুরদুয়ার:
আলিপুরদুয়ার কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক বন বিহারী দত্তের মৃত্যুতে শোকের ছায়া তার পরিবারে। অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় শিক্ষক হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসী গভীরভাবে শোকাহত।
তবে এই শোকের মাঝেই এক অবাক করা দৃশ্য দেখা গেলো। বন বিহারী দত্তর ছেলে, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ENT বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সৌম্যাজিত দত্ত. তাঁর বাবার মৃত্যুর পরেও দায়িত্বে অবিচল তিনি। দুপুরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের আউটডোরে থান পরে বসে রোগী দেখেন। বর্তমানে পরিবারের মধ্যে শোকের পরিবেশ, বাবার মৃত্যু ও অশুচির অবস্থার মধ্যেও রোগী দেখার মনোবল বজায় রেখে তার দায়িত্বে অবিচল তিনি। তাঁর এই কাজ রোগীদের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ডাঃ সৌম্যাজিত দত্তের এই দৃঢ়তা ও পেশাগত নিষ্ঠা প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর বাবার মৃত্যুতে শোকিত হলেও, তিনি তার পেশাগত দায়িত্বে অবিচল থাকলেন, যা চিকিৎসক সমাজে একটি বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ডাক্তারবাবু বলেন, “বাবা প্রয়াত হয়েছেন, মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গেল। খুব কষ্ট হচ্ছে তবে একজন ডাক্তার হিসেবে আমার কর্তব্য রোগীদের পরিষেবা দেওয়া। এই সময়ের মধ্যেও চেষ্টা করে হাসপাতালে এসে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি”