Friday, March 29, 2024
Homeদেশবছরের শেষ দিনে দুঃসংবাদ, প্রয়াত লখনৌ চিড়িয়াখানার পূর্ণবয়স্ক বাঘ 'কিশান'

বছরের শেষ দিনে দুঃসংবাদ, প্রয়াত লখনৌ চিড়িয়াখানার পূর্ণবয়স্ক বাঘ ‘কিশান’

লখনউ চিড়িয়াখানায় একটি পুরুষ বাঘের মৃত্যু। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল বাঘটি। প্রায় ১৩ বছর ক্যানসারের (Cancer) সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যু হয় তার। লখনউয়ের (Lucknow) ওয়াজিদ আলি শাহ জুলজিক্যাল পার্কে (Nawab Wajid Ali Shah Prani Udyan) কমল বাঘের সংখ্যা। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল একটি পুরুষ বাঘের। ২০০৯ সালে ১ মার্চ বাঘটিকে কিশানপুর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে থেকে উদ্ধার করে লখনউ জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাঘটি মারা যাওয়ায় পার্কের কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে বাঘটি উত্তপ্রদেশের কিশানপুরের কাম্পতাদা এলাকায় স্থানীয় মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল। সেই সময় বাঘটির হামলায় বেশ কয়েকজন মানুষ জখম হন। এ নিয়ে অভিযোগ আসার পর, সেটিকে বন্দি করতে তৎপর হয়ে ওঠে বন দফতের কর্মীরা । কয়েক মাস অক্রান্ত পরিশ্রমের পর বন বিভাগ বাঘটিকে থাঁচাবন্দি করে। কিশানপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলে বাঘটির নাম রাখা হয় কিশাণ।

২০০৯ সালে মার্চ মাসে বাঘটিকে লখনউয়ের চিড়িয়াখানায় আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষার সময় বাঘটি হেমাঙ্গিওসারকোমো নামক ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানান পশু চিকিৎসকরা। ক্যান্সারের জীবাণু বাঘটির কান ও মুখের কাছে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানান। বনকর্মীদের ধারণা, মুখের কাছে ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার জন্য বাঘটি বন্যপ্রাণী শিকার করতে পারত না। ফলে মানুষকে টার্গেট করে সে। লখনউয়ের ওয়াজিদ আলি শাহ চিড়িয়াখায় একটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল বাঘটিকে। এরপর রুটিন করে চলছিল ক্যান্সারের চিকিৎসাও। প্রায় ১৩ বছরের বেশি সময় বেঁচে ছিল কিশান। শুক্রবার মৃত্যু হয় তার। জুলজিক্যাল পার্কের প্রধান ভিকে মিশ্র জানিয়েছেন যে ক্যান্সারের আকান্ত হলেও, কিশানের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। স্বাভাবিক বাঘের মতো আচরণ করত সে। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে খাওয়া বন্ধ করে দেয় সে। শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেওয়ায়, সব সময় ঘুমিয়ে কাটাত বাঘটি।

চিড়িয়ানার ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে বাঘটির জন্য রুম হিটারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কিশান ৯০ শতাংশ ক্যান্সার মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই সময় প্রতি মাসে কেমোথেরাপি চলছিল তার। কয়েকমাস চলার পর, ডোজ কমানো হয়। এরপর প্রতি আট মাস পরপর কেমোথেরাপি চলে কিশানের। প্রথম দিকে বাঘটির ওজন কম থাকলেও, পরে তা বৃদ্ধি পায়। ২০০ কেজি ওজন হয় তার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments