কোচবিহার কেন্দ্র নিয়েই যাবতীয় মাথ্যব্যথা নির্বাচন কমিশনের। যে কারণে প্রথম পর্বের তিন কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ ২৬৩ কোম্পানির মধ্যে সবথেকে বেশি ১১২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে কোচবিহারেই। বাকি দুই কেন্দ্র জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মোতায়েন করা হচ্ছে ৭৫ ও ৬৩ কোম্পানি বাহিনী। বাকি ১৩ কোম্পানিকে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া ১৭৭ কোম্পানির সঙ্গে প্রথম পর্বের আগে ১৫ তারিখের মধ্যে আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী ঢুকে পড়ছে রাজ্যে। মোট এই ২৭৭ কোম্পানির মধ্যে প্রথম দফার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ২৬৩ কোম্পানি। যার অর্ধেকের কিছু কম ১১২ কোম্পানি যাচ্ছে কোচবিহারে। এই কেন্দ্রের দিনহাটা ও সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর সমর্থকদের মধ্যে এরমধ্যেই একাধিক অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি গত বিধানসভা ভোটে এই জেলার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা ও তাতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনাও বাহিনী মোতায়েনের ফর্মুলা তৈরির সময় মাথায় রাখা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, কোচবিহারে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জন। আলিপুরদুয়ার ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫২ জন এবং জলপাইগুড়িতে ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৬৩ জন। প্রথম পর্বের মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৪০৩, মোট বুথের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৪।
লোকসভা ভোট শুরু হতে বাকি ৬ দিন। এসময় কমিশনের দুশ্চিন্তা রয়েছে রামনবমী নিয়ে। প্রথম পর্বের ভোটের দুদিন আগে ১৭ এপ্রিল রামনবমী। প্রতিবারের মতো এবারও যা নিয়ে মিছিল ও পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন। রাষ্ট্রীয় স্বযংসেবক সংঘের যে শাখার উদ্যোগে এই রামনবমী পালন হয়ে থাকে, সেই হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গের সংগঠন সম্পাদক তারক বারিকের দাবি, “এবছর অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার রামনবমী নিয়ে উৎসাহ কয়েকগুণ বেশি।” তিনি জানান, গত বছর রামনবমীর দিন রাজ্য জুড়ে ১ কোটি ২৫ লক্ষ শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটা দুই কোটি ছাড়িয়ে যাবে।