পুষ্টিগুণে ভরপুর ‘কাঁঠাল’
কাঁঠাল যে খুবই উপাদেয় ও সুস্বাদু ফল তাতে সন্দেহ নেই। অনেকে অবশ্য কাঁঠালের গন্ধ পছন্দ করেন না। খাজা কাঁঠাল নাকি গোলা কাঁঠাল? এই বিতর্ক সরিয়ে রেখে আগে জেনে রাখা ভাল ভারতীয় উপমহাদেশের এই ফল খাদ্যগুণ ও পুষ্টিমূল্যে ভরপুর ৷ আসুন, দেখে নিই এই ফলকে কেন ‘সুপারফুড’ বলা হয়৷ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ সংক্রমণকে প্রতিহত করার শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷ কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ প্রচুর ৷ ফলে মরসুমি এই ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে ৷ বিঘ্নিত হয় না রক্ত সংবহন পদ্ধতিও ৷
শুধু তাই নয়, পরিমিত পরিমাণে খেলে কাঁঠাল পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। কারণ অন্যান্য ফলের মতো কাঁঠালও ফাইবারসমৃদ্ধ। কাঁঠালের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে ৷ ফলে ক্যানসারের আশঙ্কা কম হয় ৷ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কাঁঠাল চোখ ভাল রাখে ৷ দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় ৷ ছানি এবং রেটিনার অন্যান্য অসুখকে প্রতিহত করে এই ফল ৷ শরীরে অকালবার্ধক্য বা জরার ছাপকেও ঠেকিয়ে রাখে কাঁঠাল ৷ কাঁঠাল ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ৷ এই ফলে হাড় মজবুত হয় ৷ দূরে থাকে হাড়ের জটিল রোগের আশঙ্কা। থাইরয়েড এবং দূষণ থেকে হওয়া হাঁপানি রোধ করতেও কাঁঠাল কার্যকরী ৷ তাই এই মরসুমে কয়েকদিন অন্তত কাঁঠাল খেয়ে শরীরকে বহু রোগ থেকে মুক্ত করুন।