নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে ইডির কাছে। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ, বেশ কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে অভিযোগকারীদের সঙ্গে ইডির দফতরে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পাণ্ডাকেও।
তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৪ সালে তাঁর সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। যদিও প্রায় ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর আজও ফ্ল্যাট পাওয়া যায়নি। সেই সময় নাকি নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে এই ৪২৯ জনকে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, গড়িয়াহাট রোডে মেসার্স ৭সেন্স ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থাকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন এই ৪২৯ জন ফ্ল্যাট প্রত্যাশী। সেই বাবদ মোট ২৪ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল সংস্থার তরফে। অভিযোগ, এই সংস্থাটি নুসরতের। পাশাপাশি রাকেশ সিং নামে আরও একজন ডিরেক্টর আছেন এই সংস্থার। এই সংস্থা নাকি ৪২৯ জনকে বলেছিল, ৫০০ কাঠা জমি কিনে সেখানে নির্মাণ করা হবে ফ্ল্যাট।
যদিও সময় মতো ফ্ল্যাট না পেয়ে প্রতারিতরা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গড়িয়াহাট থানায়। আলিপুর কোর্টেও এই নিয়ে মামসা দয়ের করা হয়েছিল। তবে তাঁরা না ফ্ল্যাটের মুখ দেখেছেন, না ফেরত পেয়েছেন সেই টাকা। শেষ পর্যন্ত তাই ইডির কাছে এই নিয়ে নালিশ করেছেন তাঁরা। দাবি করা হয়েছে, এই মামলায় আলিপুর আদালতের তরফে একাধিকবার তলব করা হয় তৃণমূল সাংসদ নুসরতকে।
এদিকে অভিযোগ, নুসরতের বিরুদ্ধে এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নাকি অভিযোগকারীদের ওপর প্রশাসনিক স্তর থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, অভিযোগকারীদের থেকে টাকা নিয়ে তা দিয়ে এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত নিজে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ইডির কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে অভিযোগ জানাতে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কু দেবও।