দিনহাটা:
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের বিক্ষোভ দিনহাটা গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর সেই খবর করতে এলে সাংবাদিকদের হুমকি স্কুলের সহকারী শিক্ষকের। ঘটনার বিবরণে জানা যায় দিনহাটা গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় একসাথে অবস্থান করছে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তীতে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে তাদেরকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে স্কুলের শিক্ষকেরা।যদিও শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী উক্ত প্রাইমারি স্কুলের ভর্তি গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হওয়ার কথা। অভিভাবকদের আরো অভিযোগ ইতিমধ্যেই এই স্কুলে প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রদের ভর্তি না নিয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ লটারির মাধ্যমে অন্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নিয়েছে। তাদের আরো অভিযোগ সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে একই সাথে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় থাকলে উক্ত উচ্চ বিদ্যালয় প্রাইমারি বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নিতে বাধ্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সরকারি সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। আর এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে এলে তাদের অভিভাবকসহ ছাত্রছাত্রীদেরকে বারবার ফিরিয়ে দেয় প্রধান শিক্ষক আক্কাছ আলী। এরকম অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমস্ত অভিভাবক মিলে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানকে ভর্তির জন্য বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে সেই খবর সংগ্রহ করতে আসেন দিনহাটার সাংবাদিকেরা। কেন ভর্তি নিচ্ছেন না এরকম প্রশ্ন করার পর প্রধান শিক্ষক সরকারি নির্দেশিকার কথা জানান ও একাধিক মন্তব্য করেন । তিনি জানান এসব এখন বিবেচনাধীন। আর তারপর সাংবাদিকরা সেখান থেকে বেরিয়ে এলে পরবর্তীতে পুনরায় তাদেরকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে কেন সংবাদ পরিবেশন করতে এসেছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন ও হুমকি প্রদর্শন করেন।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম রফিকুল ইসলাম।
স্কুল কর্তৃপক্ষ আরো জানায় তারা পার্শ্ববর্তী এক কিলোমিটারের মধ্যে এলাকা ঘুরে ঘুরে ছাত্রদের ভর্তি নিয়েছে। অথচ এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী চার পাঁচজন অভিভাবক আজকেই বিক্ষোভে সামিল হয়ে জানান তাদের বাড়িতে স্কুলের তরফ থেকে কেউ যায়নি। এ বিষয়ে স্কুলের যে ভুল হয়েছে সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের অভিভাবক সমিতির সভানেত্রী