জামিন পেয়েও জেলমুক্তি ঘটেনি, এর মাঝেই ফের গ্রেফতার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ
কলকাতা ব্যুরো : ফের গ্রেফতার হলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থেকে গত ৩০ এপ্রিল জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আইনগত কারণে এখনও তার জেলমুক্তি হয়নি। এর মাঝেই অন্য একটি মামলায় সোমবার ফের তাঁকে গ্রফতারের নির্দেশ দিল চট্টগ্রাম আদালত।
দীর্ঘ পাঁচ মাস দীর্ঘ টালবাহানার পর গত ৩০ এপ্রিল জামিন পেয়েছিলেন বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণী জোটের মুখপাত্র নিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর জামিনের খবরে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল দেশের সনাতন হিন্দু সমাজ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ছিল। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের মামলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। সেই হিংসায় প্রাণ যায় এক আইনজীবীর। অভিযোগ, আদালত চত্বরে সইফুল নামের এক আইনজীবীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের নির্দেষ দিয়েছে চট্টগ্রাম আদালত।
ঢাকা সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সোমবারই চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের এজলাসে মামলাটি উঠে। বিরোধী পক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক চিন্ময়কৃষ্ণকে ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর নির্দেশ দিয়েছেন। শোন অ্যারেস্ট হল কোনও মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে ফের গ্রেফতার করা। যদিও এদিনের শুনানিতে চিন্ময়কৃষ্ণের তরফে কোনও আইনজীবী ছিল না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আইনজীবীর মৃত্যুর মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে ২১ জন জেলে রয়েছেন।
বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গত বছর ৩১ অক্টোবর চিন্মকৃষ্ণর বিরুদ্ধে মামলা করেন এক বিএনপি নেতা। চিন্ময়কৃষ্ণ-সহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছিল। এর পরই আদালতের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ পাঁচ মাস তিনি জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন। এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অসন্তোষ ছড়িয়েছিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন সংখ্যালঘু এই নেতা। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তাঁর জেলমুক্তি এখনও সম্ভব হয়নি। এর মাঝেই অন্য একটি মামলায় ফের তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল চট্টগ্রাম আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *