রেস্তোরায় মাস্তানি তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করার অভিযোগ। তারপরেই অভিনেতা থেকে পরিণত-তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী নিউ টাউনের একটি রেস্তোরাঁর মালিককে চড় মারার জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবার সেই ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা।
চন্ডিপুরের বিধায়ক রেস্তোরাঁর সামনে তার গাড়ি পার্ক করে রেখেছিলেন, অন্য গ্রাহকদের অসুবিধায় ফেলেছিলেন। রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল আলম চক্রবর্তীর নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়িটি সরিয়ে নিতে বলেন। এর ফলে মৌখিক ঝগড়া হয় এবং টিএমসি বিধায়ক ঘটনাস্থলে এসে আলমকে চড় মারেন এমনটাই অভিযোগ।
সেই সময় সোহম চক্রবর্তী বলেছিলেন যে রেস্টুরেন্ট মালিক তার এবং অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে “খারাপ শব্দ” ব্যবহার করেছেন। “যে মুহুর্তে তিনি অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে খারাপ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, আমি আমার শান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে কয়েকবার চড় মারলাম। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি যারা এখন বিষয়টি দেখবে,” তিনি বলেন। যদিও ঘটনার কিছুদিন পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা সোহম। তিনি বলেন, “জনপ্রিতিনিধি হিসাবে এমন কাজ করা আমার ঠিক হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।”
আলম ব্যানার্জি গালি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন,অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী তাকে ঘুষি ও লাথি মেরেছে। তিনি জানান, “এমনকি কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি না নিয়েই শুটিং করতে এসেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও, আমরা তাকে রেস্টুরেন্টে শুটিং করতে দিয়েছিলাম। পার্কিং নিয়ে রেস্তোরাঁর কর্মী ও তার নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমি সেটা ঠিক করে রেস্তোরাঁয় যাচ্ছিলাম তখন সোহম এসে আমার মুখে ঘুষি মারল। আমি হাত জোড় করে তাকে অনুরোধ করেছিলাম যে আমাকে মারবেন না এবং কি হয়েছে তা শোনেন। পরিবর্তে, তিনি ‘আমি তোমাকে আমার ক্ষমতা দেখাব’ বলে আমাকে লাথি মেরেছে,”
সোহম জানান, রেস্তোরাঁর মালিক যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে তাঁর (সোহমের) মারমুখী চেহারা দেখা যাচ্ছে। তবে সোহমের দাবি, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল আরও আগে। তাঁর কথায়, শ্যুটিং করতে যাওয়ার পর থেকেই কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রোস্তোরাঁর মালিক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁর দেহরক্ষীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, গায়ে হাতও তোলা হয়। চলে গালিগালাজ। সোহমের কথায়, ‘সেই ঘটনার ভিডিয়ো কিন্তু প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে এটা ঠিক জন প্রতিনিধি হিসাবে আমার গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি। মেজাজ হারানো ঠিক হয়নি। বিষয়টা প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।’
এদিকে সোহমের প্রযোজনা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, রেস্তোরাঁয় শ্যুটিং করার জন্য মালিক আনিসুর আলম, ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তবে তারপরেও অব্যবস্থা থাকায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যদিও এর আগে রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুর আলম দাবি করেছিলেন, তিনি শ্যুটিংয়ের জন্য কোনও টাকা নেননি।