গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করল কেন্দ্র। বিভিন্ন দেশের অনুরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা লাগু হওয়ার আগেই যে সমস্ত অর্ডার শুল্ক দফতরের হাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, সেগুলি বাতিল করা হবে না। মোদি সরকার আগেই জানিয়েছে, রফতানি নিষিদ্ধ করা হলেও তবে অন্য কোনও দেশের খাদ্যের প্রয়োজনে ভারত সরকার রফতানিতে অনুমতি দেবে।
শুক্রবার গভীর রাতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। গত বছরের তুলনায় এবার আটার দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ফলে রুটি-সবজি খেতেও মধ্যবিত্তের কালঘাম ছুটেছে। শনিবার থেকেই গম রফতানি বন্ধ করা হয়। তার পরেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পথে হাঁটল কেন্দ্র।
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গম পেতে ভারতের দিকে ঝুঁকছিল। সেই কারণেই দেশে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে বাড়ছিল আটার দাম। বাজারে আটার গড় দাম কেজি প্রতি ৩২.৯১ টাকায় পৌঁছেছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি।