উত্তরবঙ্গ-দিঘা বাসের ব্যাপক সাফল্য:
দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীর প্ৰিয় জগন্নাথ মন্দির স্থাপিত হওয়ার পরে দিঘাতে মানুষের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে দিঘায় প্রতিদিন আসছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে সম্প্রতি চালু হওয়া উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলার সঙ্গে দিঘা এখন অত্যাধুনিক ভলভো বাস পরিষেবা পাহাড় ও সমুদ্রকে একই সুতোয় বেঁধে ফেলেছে। এই পরিবহণ ব্যবস্থা চালুর এক সপ্তাহের মধ্যেই অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছে, যার ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। জানা গেছে এক সপ্তাহে দীঘা রুটে ছয় লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এই মুহূর্তে পর্যটকের জোয়ার এসেছে দিঘায়। এই ভলভো বাসগুলি বাতানুকূল এবং পুশব্যাক আসনের সুবিধা সহকারে নকশা করা হয়েছে, যেখানে চালক ও কন্ডাক্টর সহ মোট ৪৫টি আসন রয়েছে।
উদ্বোধনের পর থেকেই শিলিগুড়ি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং রায়গঞ্জ থেকে এই বাসগুলি দিঘায় নিয়মিত যাতায়াত করছে। শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই যাত্রীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। প্রতিটি বাসে প্রায় ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করায় এনবিএসটিসি-র আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দিঘায় এনবিএসটিসি-র নিজস্ব কোন ডিপো না থাকায়, তারা প্রাথমিকভাবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)-এর ডিপোর ওপর নির্ভরশীল। সেখানেই তাদের বাস টার্মিনাস এবং টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলা শহরের বাস টার্মিনাসগুলি থেকেও দিঘা আসার বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে এবং অনলাইন বুকিং পরিষেবাও চালু রয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধা বয়ে এনেছে।
এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই বাস টার্মিনাসের যাবতীয় বন্দোবস্ত ঘুরে দেখছেন এবং যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলছেন।
চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় জানান,“এক সপ্তাহে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, প্রতিটি বাস একদম ফুল বুক হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার রেকর্ড সংখ্যক আয় হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় উত্তরবঙ্গ থেকে দীঘা যাত্রা আরো সহজ হয়ে গেছে এই বাসের মাধ্যমে। কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে এছাড়াও অনলাইন বুকিং পরিষেবাও চলছে”