স্বাস্থ্য: আলুর খোসা কিন্তু ফেলনা নয়

আলু আমাদের রান্নার প্রধান উপকরণ। প্রায় সব রান্নায় থাকে আলু। কিন্তু নানা কারণে আলুর খোসাকে আমরা ব্রাত্য করে রেখেছি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে আলুর খোসায় আছে এমন কিছু পুষ্টিগুন যা যথেষ্ট উপকারী।

১) আলুর চামড়া বা খোসাও হার্টকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। জৈব আলুর খোসা খেলে স্বাভাবিক থাকে রক্তচাপ। এছাড়া এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে  পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

২) আলুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন বি ৩। এই উপাদান শরীরের কোষগুলিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দিতে কার্যকর। এছাড়া শরীর কোষকে শারীরবৃত্তীয় চাপ থেকে পুনরুদ্ধার করতেও সাহায্য করে। একটি আলুর খোসায় রয়েছে আলুর তুলনায় বেশি ফাইবার। যা কোলন ক্যানসার, হৃদরোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি বিপাক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

৩) আলুর খোসা হল ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি প্রাকৃতিক উৎসস্থল। এক ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই উপাদানের মাধ্যমে শরীরকে সংক্রমণ এবং  বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

৪) ত্বকের যে কোনও সমস্যায় আলুর খোসা খুব ভালো। ডার্ক সার্কেল থেকে পরিত্রাণ পেতে, ঝকঝকে পরিষ্কার করতে, ফর্সাভাব আনতে, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের চিকিত্সা করতে, অতিরিক্ত তেল কমাতে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যত্নের জন্য আলুর রসের মধ্যে তুলোর বলের সাহায্যে প্রয়োগ করা হয়। ১৫-২০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫) আলুর খোসায় কিছু খনিজ উপাদান রয়েছে যা হাড়ের গঠন ও শক্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এতে রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার এবং জিঙ্ক। শরীরের প্রায় ৫০-৬০% ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের মধ্যে থাকে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের বিশেষজ্ঞদের মতে, আলুর খোসা নিয়মিত খেলে হাড় থাকে মজবুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *