বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ – সকাল থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে হাওড়া শিয়ালদায়
বামেদের ব্রিগেড মানেই কয়েক লক্ষ মানুষের সমাবেশ। বামেদের ভোট কমে মাত্র ৫ শতাংশ হলেও মিটিং মিছিলে ভিড় কিন্তু কমে নি। রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া থেকে শিয়ালদহ, সব স্টেশনেই দেখা গেল ভালই ভিড়। হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, হুগলি, সর্বত্রই একই ছবি। কর্মীরা আসছেন উত্তরবঙ্গ থেকেও। শনিবার রাতেই অনেকে চলে আসেন কলকাতায়। আজ তারা ব্রিগেডমুখী। একদিকে কৃষক, বস্তিবাসী, ও ক্ষেতমজুরদের বিভিন্ন দাবি অন্যদিকে চাকরি চুরি ও দিকে দিকে হিংসার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা ব্রিগেড যাচ্ছেন বলে দাবি বাম কর্মী সমর্থকদের। একইসঙ্গে আগামী ২০২৬ এর নির্বাচনের কোন রণনীতি ঘোষণা করেন দলের নেতারা তা জানতেও মুখিয়ে রয়েছেন ব্রিগেডগামী বাম কর্মী সমর্থকেরা। গতকাল রাতের পর আজ সকাল থেকে ব্রিগেডের উদ্যেশ্যে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে রওনা দিতে শুরু করেছেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ট্রেন সকালে পৌঁছতেই কর্মীদের লম্বা লাইন শুরু হয়।
আজ দুপুরে সমস্ত বাংলা এসে মিশবে ব্রিগেডে। প্রধান বক্তার তালিকায় আছেন মহম্মদ সেলিম। মীনাক্ষী বক্তব্য রাখববেন কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। কাটোয়া মহকুমায় বাম সমর্থিত শ্রমজীবী মানুষ ও শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন, ক্ষেতমজুর সংগঠনের সদস্যদের সকাল থেকেই ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য ভিড় দেখা যায়। সকাল সকাল বর্ধমান স্টেশন চত্বরে জড়ো হচ্ছেন বাম কর্মীরা। রবিবাসরীয় ব্রিগেডে শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই দু’শোর কাছাকাছি বাস যাবে ব্রিগেডে। তবে পশ্চিম বর্ধমান থেকে খুব বেশি মানুষ আসছেন না বলেই খবর। বাম নেতাদের নির্দেশে শনিবার থেকেই দফায় দফায় বাসে ও ট্রেনে কর্মী সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। মীনাক্ষীর শহর আসানসোল থেকে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের এদিন কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা যায়। কুলটি, সীতারামপুর, বরাকর, আসানসোল স্টেশন থেকে সকাল থেকে অগ্নিবিনা ও কোলফিল্ড এক্সপ্রেসে কলকাতামুখী ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংগঠনের সমর্থকরা।